top of page

"জাগো নারী,জাগো বহ্নি শিখা"



"জাগো নারী, জাগো বহ্নি শিখা"


প্রজ্বলিত হও নারী।হও উদ্ভাসিত আপন আলোয়। পৃথিবীর সকল দেশের সকল স্তরের নির্যাতিত, নিপীড়িত নারী জেগে ওঠো। আত্মমর্যাদায়, মাথা উঁচু করে দৃপ্ত পদক্ষেপে।

নারীকে কেনো জেগে ওঠার আহবান জানানো হয়? কেনো নারীকে সোচ্চার হতে বলা হয়? কি তার শৃঙ্খল? কোন প্রাচীরে ঘেরা নারী?


যুগ যুগ ধরে নারী শৃঙ্খলিত,পরাধীনতার গ্লানি আর শোষণ- নির্যাতনের যাঁতাকলে। অথচ এই নারীই গর্ভধারিণী মা। নারীই প্রকৃতি। মূলত এই জগৎ সৃষ্টির পবিত্র ভূমির নাম নারী। তবে নারী কেনো নির্যাতিত হবে যুগ যুগ ধরে? কর্মক্ষেত্রে, পথে-ঘাটে,এমনকি গৃহে ও নারী নিরাপদ নয়।যে জঠরে জন্ম নেয় ছোট্ট শিশুটি, সে ই ক্রমান্বয়ে মানুষ না হয়ে 'পুরুষ' হিসাবে নিজেকে জাহির করে। তবে কি 'মানুষ' শব্দটিকে ছাপিয়ে গেছে 'পুরুষ' শব্দটির শ্রেষ্ঠত্ব? প্রশ্ন জাগে মনে এই 'পুরুষ' শব্দটি দিয়ে আসলে কি প্রকাশ পায়।যদি অবলাকে নির্যাতন, নিপীড়ন আর লোলুপ চিন্তার হিংস্র প্রকাশ হয় ' পুরুষ', তবে এই শব্দটি একটি অপবাদের নাম।পুরুষের ভিতরে রয়েছে আমার বাবা, ভাই, স্বামী, পুত্র - কে নেই!

কত রকমের নামে কত সম্পর্কে এই পুরুষকে ই দেখতে পাই। নারীর জন্য তাহলে একটি বিশেষ দিন (৮ই মার্চ) কেনো নির্বাচন করতে হলো? এর উত্তর মেলে আর্থসামাজিক চিত্রের দিকে দৃষ্টিপাত করলে। একটি দিনে সারা বিশ্বের নারী একটি সত্তায় বিলীন হয়,আর তা হলো - শোষিত, নির্যাতিতা হিসাবে। এই দিনটি তে নারী খুঁজে নিতে চায় তার অবস্থান, বুঝে নিতে চায় তার অগ্রগতি। নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী শ্রমিককে মজুরি অর্ধেক দেওয়া,নারীর যোগ্যতাকে অবমূল্যায়ন করা,গৃহকর্মে সহযোগিতা না করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা সহ পৈতৃক সম্পত্তি থেকেও বঞ্চিত করা। সর্বোপরি ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীকে শিক্ষা ও স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করা। এই সব প্রকাশিত অন্যায়ের পাশাপাশি আরও অগণিত বঞ্চনা,কান্নার গল্প আছে নারীর।

তাই 'নারী' তুমি আমার মা। আমার সহধর্মিণী, আমার বোন,আমার কন্যা। তুমি এইসব জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, চিৎকার করে বলো তুমি মানুষ।তুমি কোনো বস্তু নও।ক্রীড়নক নও,নও কারো অধীন। নারী ও পুরুষের যে যৌথ অংশগ্রহণে এই পৃথিবী সৃষ্টি, সেই সত্যটি কে অস্বীকার না করে দুটি সত্ত্বা মিলিত হয়ে সমানতালে পা ফেলে সামনে এগিয়ে যাক।

নারীর প্রতি তাই আমার আহবান,

"এসো আমরা কিছু পাথর ভাঙি,

ভাঙি অচলায়তন

দাঁড়াই যুগের সন্ধিক্ষণে "।

 

সাদিয়া নাজিব

সহযোগি সম্পাদক, শিকড়

24 views0 comments
bottom of page