অন্ধতায়
যখন বলি ‘মা’, ‘বাবা’ বাংলা ভাষায়,
প্রতিধ্বনিত হয় চির চেনা, অমর দুটি শব্দ।
তখন আমি হই কেউ একজন মহাঅন্ধ।
কোনো যুক্তি তর্ক কাজ করেনা মুগ্ধতা ছাড়া।
যখন দেখি সবুজের আভায় লাল সূ্র্য।
তখন চেতনা বোধ হয়, সাহস সমতুল এক তূর্য!
মন হারিয়ে যায়, বিমোহিত হই।
বিনষ্ট হয় সকল বাস্তব কালো চাতুর্য।
কেবলই মনে হয় কোনো এক স্বাধীন সার্বভৌম
লাল-সবুজ মেঘের ছাদের ছায়াতলে,
বসবাস করি কী এক অপার্থিব নিশ্চয়তায়।
আমরা ভাই বোনেরা, বন্ধু, পরিজন, সমতার মায়ায়।
তখনই মনে পড়ে বাবা, মাকে আবার।
আর প্রিয় একটি মুখ, স্বাধীনতার বিজয়ের পতাকার অন্ধতায় আবার তাঁকে।
কালো পুরু চশমার অন্তরালে গভীর কালো তীক্ষ্ণ চোখ!
নির্ভিক উদ্দাম এক দৃঢ়তায় মোড়া বলিষ্ঠ মুখ।
সাদা পান্জাবির নিচে শক্ত সুঠাম শরীর,
আর তর্জনী উঠিয়ে বলছে চেতনার কথা,
জাগ্রত করে চলেছে আমাদের বোধ।
আমি অন্ধ হই ক্রমাগত তাঁকে নিয়ে আবার
হৃদয়ে গহিনে লুকানো যত ক্ষোভ।
আমি আবার অন্ধ হই।
অন্ধতায় আমার বসবাস চলে।
অজস্র প্রশ্ন জাগে, মেলেনি তার খেই॥