একটা অনিবার্য শব্দের জন্মকাকলীতে-
নেতা আসলেন।
একটা অনিবার্য শব্দের জন্ম কলকাকলিতে মুখরিত হলো চারপাশ,
সম্মিলিত জনতার মুষ্টিবদ্ধ হাতগুলো লেলিহান দাবানলের মতো জ্বলে ওঠলো,
কখন মহানায়কের কণ্ঠনালী ভেদ করে রেসকোর্সে ছড়িয়ে পড়বে
সেই মহাকাব্যিক শব্দশিখা।
নেতা চশমাটা খুললেন।
দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে তার কথা বলা শুরু করলেন,থামলেন,
আবার বক্তৃতা শুরু করলেন।
এবার আগ্নেয়গিরির ভয়াবহ অগ্নুৎপাতের মতো তিনি জ্বলে উঠলেন,
অপেক্ষমাণ জনতার মনের ভেতর ছুঁড়ে দিলেন
অধিকারের বিস্ফোরক বারুদ।
তার প্রদীপ্ত কণ্ঠস্বরে উচ্চারিত হলো-
'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'
সম্ভাব্য যে শব্দটার জন্য মুক্তিকামী মানুষ অপেক্ষা করছিলো
তার নাম 'স্বাধীনতা',তার নাম 'মুক্তি'।
তারা 'স্বাধীনতা'র বজ্রশপথ নিয়ে ফিরে গেলো-
এই 'ব'ভূমির চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লো সমতলে,পাহাড়ে,
নদীতে,উত্তাল সমুদ্রে,
কেউ হয়ে উঠলো ভয়ানক গেরিলা,কেউ হয়ে উঠলো মুক্তির দুর্নিবার যোদ্ধা,
ভেঙে দিলো শত্রুর ডেরা,আগ্রাসী শক্তির সামরিক ছক।
পিতার উদ্যত তর্জনীর নির্দেশে-তারা মৃত্যুকে পরোয়া করলোনা,
রক্তের বিনিময়ে বাংলা মায়ের জন্য নিয়ে আসলো-
এক নতুন রাষ্ট্রের অগ্নিসার,মুক্তির সারাংশ;'বাংলাদেশ'।
তার মতো করে,এমন আপ্লুত স্বরে
'স্বাধীনতা'র অগ্নিমন্ত্র আর কেউ পারেনি করতে পাঠ,
মুজিবের মতো করে আর কোন কবি আবৃত্তি করতে পারেনি
'মুক্তি'র এমন ভাব ও বোধের অনিবার্য ও অত্যাবশ্যিক কবিতা।