অন্তরের গহীনে
ভোর কিংবা সন্ধ্যায়,শিশির সিক্ত দূর্বাঘাসে
খালি পায়ে হেঁটেছি যে মেঠোপথে,
ক্ষেতের পাশ দিয়ে
নরম মাটির আল ধরে...
বর্ষার কাদা পানি জলবৎ সড়কে
হাঁটতে যেয়ে কত
হোঁচট খেয়েছি আনন্দ অবলীলায়,
সেইসব স্মৃতিমাখা কৈশোর কিংবা যৌবনের সরল পথ
আজ আমাকে পিছনে টানে।
আমার গাঁয়ের ধুলোবালি, গাছপালা
খাল, পুকুর, রোদ আর বৃষ্টিতে বাল্যপনার দুরন্ত সময়
হাঁসের প্যাক প্যাক ডাক
কাকের কা কা
চড়ুই পাখির অস্থিরতা
সময়ে অসময়ে মোরগের কু-কু-ক্কু
কিংবা দুপুরের নীরবতায়
ভিখিরির দুমুঠো খাবারের করুণ আকুতি
আমাকে টানছে, টানছে নিরন্তর উদাসীন খেয়ালে।
খোলস পাল্টে নতুন রূপ হয়তো নিয়েছি, তবুও
মনের গভীরে জন্মাবধি যেসব বীজ রোপিত
তার শেকড় অন্তরের গহীনে গ্রথিত!
তাকে তো উগড়ে ফেলতে পারিনি!
অনন্ত যাত্রাবধি বারবার ফিরিয়ে নিয়ে যাবে
আর নস্টালজিয়া মাড়িয়ে যাবে আমাকে।
পর্দার ওপাশে
পর্দার ওপাশেই অপার সব বিস্ময়
শুভ্র সুশ্রী লাবণ্য ভরা সব হাসি
পর্দার ওপাশেই স্বপ্ন আশা শান্তি
আর তৃপ্তির রসদ।
পর্দার ওপাশেই জ্যোৎস্নার আলো
হাসনাহেনার সৌরভ
পর্দার ওপাশেই
শীতের শিশির ভেজা ভোরের
সোনালী রোদের মিষ্টি উত্তাপ।
খসে পড়ার আগে
খসে পড়ার আগেও পাতাটি ছিলো
কিছু পোকা মাকড় আর
ঢেঁয়ো পিঁপড়ার আশ্রয়স্থল,
খসে পড়ে ধুলো বালির কাছে,
মাটির কাছে নিজেই হলো করুণাপ্রার্থী!
তারপর বাতাসের ধাক্কায়
হোঁচট খেয়ে যখন বুঝতে পারলো
সুখের চেয়ে স্বপ্ন ভারী
দেয়ার চেয়ে পাওয়া কঠিন
তখন সে রাঁধুনির চুলার পারে
আগুনে নিক্ষেপিত হবার আশংকায়
তির তির করে কাঁপছে!