নতুন বেহুলা নাচে!
সেই অন্ধ অলৌকিক মাতাল কবির পায়ে এসে
যখন চুম্বন দেয় দেবদূত, তখন হঠাৎ
ভূকম্পনে নড়ে ওঠে পৃথিবীর আত্মার আগুন,
তুমুল কুয়াশা নামে চৈতন্যের দগ্ধ চরাচরে
বিধ্বস্ত নগর জুড়ে কাক ডাকে মৃতের কফিনে;
চোখের পাতার ভাঁজে তরঙ্গিত দীর্ণ আমাজান
বরফ সরাতে গিয়ে সরিয়েছে আগুনের দাহ
তার বুকে বহমান জলহীন মেঘের নিঃশ্বাস।
বাতাসে কান্নার ধ্বনি, রক্তে বাজে নৈঃশব্দ্যের শিস
সন্ধ্যার শিয়রে বসে তসবি গোনে দিনের পথিক,
রাত্রির আকাশ ফুঁড়ে বের হয় পলাতক ঋতু;
কবির মুঠোয় ধরা শূন্যতার ধ্রুপদী আঁচল;
কোথাও অনেক দূরে, বহুদূরে ইন্দ্রের সভায়
নতুন বেহুলা নাচে -- লখিন্দর যদি ফিরে আসে।
............................................
অতৃপ্তির গান
অতৃপ্তি আমাকে নিয়ে
উড়ে যাচ্ছে
শূন্যতার
বাহুলগ্না
হাওয়ার ডানায়;
দূরে নদী ভালোবাসা
বিষণ্ণ জলের
বিরহের তীরভাঙা
সময়ের গান
গাইতে গাইতে
একা বহে যায়:
আকাশ দুঃখের ভারে
দিগন্তের বাঁকে
ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড
যে চাঁদের মুখ
কখনও বা
অসহায় ধর্ষিতার মতো
তুমুল কান্নায়
মেঘের আড়ালে
চলে যায়
অন্ধকারে
প্রকৃতির অন্দরতলায়
অন্য এক বেদনার
নিস্তব্ধতা ভেঙে ভেঙে
হাঁটে নিরালয়;
আমি তাকে নিয়ে
দূরগামী ট্রেনের আশায়
জরাজীর্ণ
ঘড়ির হাতল ধরে
আর কতকাল
এ ভুল স্টেশনে বসে থাকবো!