অভিবাসী
গোধূলির আকাশে হঠাৎ একশত আশি ডিগ্রী বাঁক নিয়ে উড়ে গেল একঝাঁক অতিথি পাখি
গন্তব্য শহরের শান্ত স্নিগ্ধ ঝিল
পালকের আচ্ছাদনে ওরা এক একটি অভিবাসী হৃদয়
নীড়ের উষ্ণতা তাদের ক্ষণিকের
সময়ের প্রয়োজনে বারংবার যাযাবর
মানুষের একটি ঘর থাকে
থাকে একটি দেশ
একটি ঘরে অনন্তকাল কাটিয়ে দেয় মানুষ
কখনও কখনও কেউ ঘর হারিয়ে ফেলে
কেউ কেউ দেশও!
কেউ কেউ ঘরের রাস্তা কখনওই খোঁজে পায়না
কিন্তু অতিথি পাখিরা বছরের এই সময় ঠিকই ফিরে শহরের এই স্নিগ্ধ ঝিলে এবং প্রতি বছরই নিশ্চিত ফিরে...
.......................................................
ঈদ এবং পরিযায়ী পাখি
রবোটিক রুটিনে যান্ত্রিক ভালোবাসার রসনা রোচক চাকচিক্যে প্লেটে তুলে দাও একখণ্ড বৈদেশিক ঈদ,
চোখের চাতালে ত্বরিত জমতে থাকে ঘন বরষার শ্রাবণ,
সেখান থেকে অঝোর ধারায় নামতে থাকে মায়ের পিঠেপুলি সেমাই এর সুঘ্রাণ,
সুগন্ধি কালিজিরা চালের বিরিয়ানি,
ডিমওয়ালা মুরগীর ধুমায়িত সুরুয়া,
খাসির কোরমা,গরুর মাংসের কালিয়া,
প্রতিবারের মত বাবার দেয়া পছন্দের ধবধবে সাদা পাঞ্জাবী,
কুসিকাঁটায় বুনা আল্লাহু খচিত মায়ের হাতের টুপি,
ভাই বোন প্রিয় স্বজনদের উচ্ছ্বাস,
লালকুঠিতে সিনেমার টিকেটের সুদীর্ঘ লাইন,
দরগা মসজিদে প্রথম সারিতে বিছানো ঈদের নামাজ পড়ার নকশি আঁকা জায়নামাজ,
আম্বরখানা জিন্দাবাজার ভার্থখলা টিলাগড় আকালি রিক্সায় অকারণ শহর চষা!
ঈদি সংগ্রহ নতুন পোশাক ঈদ উপহার।
চিত্তে চিতার দহন, হদয়ের কার্নিশে প্লাবন থৈ থৈ অবেগী জল।
পরিযায়ী পাখি আমরা যন্ত্রের মানুষ!
যদিও এখানকার হাইব্রিড সংস্কৃতিতে আমদানি কৃত চাঁনরাত ধারণায় নিশাচর নর-নারী মেতে উঠে নৈশ প্রমোদে।
পরিযায়ী পাখিদের কোনো ঈদ থাকতে নেই না কোনো উৎসব!