top of page

শুভ জন্মদিনঃ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর




আজ পঁচিশে বৈশাখ। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬০তম জন্মদিন। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়া সাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর জন্মদিন দুইটি পর্বে ভাগ হয়ে গেছে। বিশ্ববাসী কেউ কেউ তাঁকে ইংরেজি সাল ও তারিখ হিসাবে ৭ মে এবং বাংলা সালের ক্ষেত্রে বৈশাখ মাসের ২৫ তারিখে পালন করা হয়ে আসছে। তিনি কবি, গীতিকার, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, চিত্রনাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক।


বিশ্ব সাহিত্যের অঙ্গনে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্রতিভাবানদের মধ্যে তিনি অন্যতম।

"জল পড়ে, পাতা নড়ে, এই লাইনটির ভিতরেই ঘুমিয়ে ছিলো অনাগত বিশ্বকবির কলমের শক্তি। ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মননশীলতা দিয়ে বিশ্ব অঙ্গনে অর্জন করেছেন বিরল সম্মান। প্রথাগত বিদ্যালয় শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি। গৃহ শিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। মাত্র আট বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা কবির অভিলাষ কবিতাটি প্রকাশ করে। এটিই কবিগুরুর প্রথম প্রকাশিত রচনা। বাঙালির অন্তরে যুগে যুগে রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকবেন। কাব্যে, সঙ্গীতে, গীতিনাট্যে, ছোটগল্পে, প্রবন্ধে, উপন্যাসে কোথায় নেই তার পদচারণা! রবীন্দ্র সঙ্গীতে আছে ধ্যান, আছে মগ্নতা আছে স্রষ্টার প্রতি ভক্তি নিবেদন এবং আত্মবিসর্জন। বীরত্ব এবং মা'কে রক্ষা করার যে চেতনা প্রকাশ করেছে তা অভাবনীয়। বস্তুত এমন একটি প্রতীকী লেখা কৈশোরে প্রতিটি কিশোর কে-ই এক একজন বীর পুরুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

মনে পড়ে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ, হঠাৎ দেখা, দুই বিঘা জমি,কিংবা সোনার তরী, দেবতার গ্রাস ইত্যাদি। অসংখ্য হ্রদয় ছোঁয়া কবিতা। ছোটগল্প সম্পর্কে যে দারুণ ব্যাখ্যা টি দিয়েছেন, " শেষ হইয়া ও হইলো না শেষ। তা এক কথায় কবি গুরুর অসাধারণত্ব প্রকাশ করেছে। রবীন্দ্র ঠাকুরের আরেকটি উল্লেখযোগ্য রচনা ভানু সিংহ ঠাকুরের পদাবলী। এটি তিনি রচনা করেছেন ব্রজবুলি ভাষায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতিনাট্য সাহিত্যাঙ্গনে আরেকটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি। শ্যামা, মায়ার খেলা, চণ্ডালিকা ইত্যাদি। শিশু সাহিত্য থেকে শুরু করে সকল স্তরেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বচ্ছন্দে কলম চালিয়েছেন। অসাধারণ উপমা এবং এবং বাণী রবীন্দ্র সঙ্গীতে সুর এবং তালের মিশেলে অন্তরে প্রভাব বিস্তার করে ভক্তি এবং জাগিয়ে তোলে প্রেম।

জীবন সায়াহ্নে শান্তি নিকেতনে বসে তিনি লিখেছেন,

অই মহামানব আসে

দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে

মর্ত্য ধূলির ঘাসে ঘাসে.

৫২ টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮ টি নাটক,১৩ টি উপন্যাস ও ৩৬ টি প্রবন্ধ ও গদ্য সংকলন প্রমাণ করে আজীবন দুহাত উজাড় করে আমাদের শুধু দিয়েছেন।তাছাড়া চিঠিপত্র, ভ্রমণ কাহিনী সংকলন ও উল্লেখযোগ্য। বিশ্ব সাহিত্যের দরবারে বাংলা সাহিত্য নিয়ে জয় করেছেন নোবেল পুরস্কার। হয়েছেন বাঙালির গুরুদেব, কবিগুরু এবং বিশ্ব কবি।


শিকড় পরিবার শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে তাঁর জন্মের প্রিয় দিনটি। শুভ জন্মদিন কবি। তোমার জন্ম আমাদের বাংলা ভাষা আর সাহিত্যকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান। আমরা আজ গর্বিত বাঙালি।


- সাদিয়া নাজিব, সহযোগি সম্পাদক, শিকড়


45 views0 comments
bottom of page